English | Bangla
ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতায় সিক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা

ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতায় সিক্ত
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা

দেশের কোটি মানুষকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসলেও, তাদের ধন্যবাদ জানানো হয় না। গতানুগতিভাবে সরকার পরিচালিত রাষ্ট্রায়াত হাসপাতালের কর্মীদের নেতিবাচক দিকগুলোই তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের অবদান তুলে ধরতে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রধান্য দিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিকার দিবসে জাতীয় বাতজ্বর ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন কর্মসুচীর আয়োজন করে।


এ কর্মসূচীর অন্যতম আয়োজক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, রাষ্ট্রেরহাসপাতালগুলোতে কোটি কোটি মানুষ বিনামুল্যে/ স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকে। কিছু নেতিবাচক ঘটনা প্রচারণা হলেও, অবদান কখনোই তুলে ধরা হয় না। নেতিবাচক প্রচারণা মানুষের মাঝে আস্থাহীনতা তৈরি করে এবং চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত কর্মীদের মনোবল কমিয়ে দেয়। সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানউন্নয়নের লক্ষ্যেই এ প্রচারণা কার্যক্রম। ইতিমধ্যে এ ধরনের কার্যক্রম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে।

‘‘দীর্ঘ কর্মজীবনে এ প্রথমবার সংগঠিতভাবে কারো কাছ হতে ধন্যবাদ পেলাম। এ সম্মাননা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।’’ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ফুলদিয়ে ধন্যবাদ জানাতে গেলে জাতীয় বাতজ্বর ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিচালক ডা. সালমা জেরিন এভাবেই তার  অনুভুতি তুলে ধরেন।
‘‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন এক ধরনের স্বীকৃতি। এ কার্যক্রম কর্মীদের উৎসাহী ও  মনোবল বৃদ্ধি করে। চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরো আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে আমাদের অনুপ্রানিত করবে’’ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়–য়া এভাবেই তার অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।


নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা বলেন, স্বাস্থ্য মানুষের অধিকার। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবার মাধ্যমেই মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যসেবা ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার মাধ্যমেই এ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা সম্ভব।
জাতীয় বাতজ্বর ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ডা. কামরুন নাহার চৌধুরী এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষে ডা. শাহজাদা সেলিম কর্মসূচীর অংশগ্রহনকারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এবং এ ধরনের কার্যক্রম অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী তরুনরা সম্মিলিতভাবে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।