English | Bangla
অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়বেটিস, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগসহ নানাবিধ অসংক্রামক রোগের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে বাংলাদেশের মোট ৬০% মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ। এই অসংক্রামক রোগের প্রধান কারণ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার। প্রতিরোধযোগ্য এসব অসংক্রামক রোগজনিত অকালমৃত্যু কমিয়ে আনতে তামাক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে সরকারী বেসরকারী সংস্থার সমন্বিত কার্যক্রম, তামাক নিয়ন্ত্রণে আর্থিক বরাদ্দ প্রদান এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরী। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল -এনসিডিসি) অধীনে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। অধিদপ্তরের এনসিডিসি কর্মসূচির অপারেশনাল প্ল্যানে তামাক নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্বসহ অন্তর্ভূক্ত ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। 
 
১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এ. এইচ. এম এনায়েত হোসেন এবং এনসিডিসির লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো: ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া’র সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ তথ্য পাওয়া যায়। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর একটি প্রতিনিধিদল তাঁদের সাথে স্বাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান। 
 
স্বাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদল বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণকে গতিশিীল করতে অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন আছে, যা অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এনসিডিসির অপারেশন প্ল্যান (ওপি) এ তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য কমপক্ষে ৫ বছর সমন্বিত ও ধারাবাহিকভাবে আর্থিক যোগান নিশ্চিতের উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে কার্যক্রর সাফল্য অর্জন সম্ভব হবে।’ তারা এ সময় এনসিডিসির ওপি তে সম্ভাব্য খাত অন্তর্ভূক্ত ও সুনির্দিষ্টভাবে আর্থিক বরাদ্দ প্রদান করার বিষয়ে কিছু সুপারিশ তুলে ধরে তা বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি বিভাগের কর্মপরিকল্পনায় এসব বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ উৎসাহিত হবে এবং পাশাপাশি অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশবাদ ব্যক্ত করেন। 
 
অধ্যাপক এ. এইচ. এম এনায়েত হোসেন বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। তাই অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। 
 
ডা. মো: ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ধূমপান ও তামাক সেবন অসংক্রামক রোগের প্রধান কারণ হিসাবে চিহ্নিত। তাই আমরা অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে তামাক নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্বসহ অন্তর্ভূক্ত করেছি। 
 
এসময় প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট-র প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ও ফাহমিদা ইসলাম, এইড ফাউন্ডেশন এর প্রকল্প কর্মকর্তা তৌহিদ উদ দৌলা রেজা ও সজল কুমার মৈত্র, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্স সেল এর প্রকল্প কর্মকর্তা ফারহানা জামান লিজা ও মো. মহিউদ্দিন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান।