English | Bangla
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি জরুরী
ভোক্তার অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সভাকক্ষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় । 
 
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপত্বিতে সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো শাহাদাত হোসেন। বক্তব্য রাখেন বেকারী মালিক সমিতির সিনিয়র সভাপতি মোশারফ হোসেন, মধুমতিা বিস্কুট এন্ড ব্রেন্ড ফ্যাক্টরি মালিক মো; বোরহান উদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেনে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান। 
 
গাউস পিয়ারী বলেন, প্রতি উৎপাদনকারী একটি পণ্যের উৎপাদনকারী হলে হাজার পণ্যের ভোক্তা। সেই অর্থে ক্রেতা-বিক্রেতা সবার স্বার্থ রক্ষায় এই আইনের বাস্তবায়ন জরুরী। এই আইন ক্রেতা-ভোক্তার জন্য পারষ্পারিক সাংঘষিক নয় বরং এর সুষ্ঠ বাস্তাবায়ন নিশ্চিত করবে সকলের স্বার্থ। 
 
ড. মো শাহাদাত হোসেন বলেন জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে উক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে  ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করতে গিয়ে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতার স্বার্থ রক্ষায় এই আইনের বেশ কিছুর ধারা সংশোধন ও সংযোজন প্রয়োজন। এ সকল প্রতিবন্ধকতা হতে উত্তোরণে ২০০৯ সালে প্রণীত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি জরুরী। তাই সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। 
 
মোশারফ হোসেন বলেন, সাধারণ জনগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় রাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রমে আমাদের সমর্থন রয়েছে। আমার আমাদের শিল্প রক্ষায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা চাই।
 
মো: বোরহান উদ্দিন বলেন, একদিকে ভোক্তাদের রয়েছে আইন সম্পর্কে অসচেতনতা, অন্যদিকে এই আইনটি বিক্রেতাদের নিকট এক ধরনের আতঙ্ক। মানসম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন ও পরিবেশনের দিকে নজরদারীতে শুধুমাত্র মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে জারিমানা আদায় সমাধানের পথ নয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উচিত সকলকে তথ্য ও দিক নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করা। 
 
বেকারী মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন নামে একশ্রেনীর অসাধু ব্যক্তি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নামে নিয়মিত ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবী করেন। এই বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালকের প্রতি অনুরোধ করেন তারা। 
 
ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো.শাহাদাত হোসেন। মুক্ত আলোচনায় বেকারী মালিক সমিতি, রায়েরবাজার বাজার মালিক সমিতির প্রতিনিধি, তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মী, পরিবেশ কর্মীসহ বিভিন্ন বেসরকারী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দদের অংশগ্রহন করেন।