English | Bangla
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সাইক্লিং এবং হাঁটাবান্ধব করার আহ্বান
জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন; পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা; যাতায়াত খরচ, অবকাঠমো নির্মাণজনিত ব্যয় এবং যানজট হ্রাসে সাইকেল ও হেঁটে যাতায়াত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ঢাকা শহরে সাইকেল এবং হাঁটা সুবিধাজনক যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে প্রমাণিত। বর্তমানে অনেকেই এই মাধ্যম দুটিতে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন। তবে, সাইক্লিষ্ট ও পথচারীরা চলতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মূখীন হচ্ছেন। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের ন্যয় এখনও সড়কে তাদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা যায় নি। ইতিমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাইকেল লেন করার উদ্যোগ প্রতিশ্রুতি করা হয়েছে। সেজন্য, সাইক্লিস্ট, পরিবেশবাদী-সামাজিক-পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সাইক্লিং এবং হাঁটাবান্ধব করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।  ১২ জানুয়ারি ২০১৭ বিকাল ৪ টায় ১৪টি পরিবেশবাদী, সামজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সাইক্লিং এবং হাঁটাবান্ধব করার আহ্বানে” সাইকেল র‌্যালী পূর্ব আলোচনায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।
 
বক্তারা বলেন, নগরে নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দে সাইকেল এবং হেঁটে যাতায়াতের জন্য ইতিমধ্যে সরকারের “জাতীয় সমন্বিত বহুমাধ্যমভিত্তিক পরিবহন নীতিমালা, ২০১৩” তে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রদ্বয়ের সদিচ্ছায় সাইক্লিং এবং হাঁটাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
 
বক্তারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাইকেল লেন এর পাশাপাশি হেঁটে চলাচলের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা; বিভিন্ন শহরের বিশেষ করে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন এর মানদন্ড অনুযায়ী সাইকেল লেন ন্যূনতম ৫ থেকে ৮ ফুট প্রশস্ত করে তৈরি করা; বোলার্ড/সরু ডিভাইডার অথবা অস্থায়ী ভিত্তিতে ফুলের টব দিয়ে সাইকেল লেনকে পৃথক করা; সাইকেল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে সাইকেল স্ট্যান্ড ব্যবস্থা করা; প্রতিটি সংযোগস্থলে সাইক্লিস্ট এবং পথচারীদের পরাপারের সুব্যবস্থা করা; ফুটপাত সংস্কার করা এবং গাড়ি প্রবেশ/নির্গমনের স্থানে র‌্যাম্পের ব্যবস্থা করা; সাইকেল ও হাঁটার জন্য নির্মিত অবকাঠমো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশেষায়িত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার সুপারিশ করেন।
 
সাইকেল র‌্যালী পূর্ব আলোচনা পর্বে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (বেন) অস্ট্রেলিয়া চ্যাপ্টার এর সমন্বয়কারী কামরুল আহসান খান এর সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মারুফ হোসেন। প্রধান অতিথি এবং উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিকী। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হক খান, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম এর সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর উপদেষ্টা দেবরা ইফরইমসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স (বি.আই.পি) এর সহ সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান প্রমূখ।