English | Bangla
তামাক নিয়ন্ত্রণে বেসরকারী সংগঠনগুলোর কাজ প্রশংসনীয় - স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত বিভিন্ন সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল ০৫ জুলাই, ২০১৮ বিকেলে জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সাথে তার কার্য্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সামগ্রীক তামাক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তার সাথে আলোচনা করা হয়।

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে মাননীয় স্পীকার জনাব শিরিন শারমিন চৌধুরীকে তামাকজাত দ্রব্যে করারোপ ও একটি শক্তিশালী তামাক করণীতি প্রণয়ণে সুপারিশ ও সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর “তামাকমুক্ত বাংলাদেশ” গড়ে তুলতে সমর্থনের অনুরোধ জানানো হয়।

মাননীয় স্পীকার তামাক নিয়ন্ত্রণে বেসরকারী সংগঠনগুলোর ধারাবাহিক কাজের প্রসংশা করেন এবং আগামী দিনেও তামাক নিয়ন্ত্রণে তার আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার ইতোমধ্যে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়াও এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) বাস্তবায়নকে একটি টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই লক্ষ্য অর্জনে সকলকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান পাশাপাশি ই-ধূমপান প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট’র সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও আর্ক ফাউন্ডেশ ‘র নির্বাহী পরিচালক ড. রুমানা হক, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম, মাদক বিরোধী সাংবাদিক এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক নিখিল ভদ্র, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান, মিডিয়া এডভোকেসি অফিসার সৈয়দ সাইফুল আলম প্রমূখ।