English | Bangla
পলিথিন ও প্লাস্টিকে বন্দি জীবন চাই মুক্তি, চাই পরিত্রান
Polythin_Plastic1.jpg

বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা আমাদের জীবনে গতি এনে দিয়েছে। প্রতিদিন বিজ্ঞানের আবিষ্কার ও অগ্রযাত্রা আমাদেরকে মুগ্ধ করছে। ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিজ্ঞান আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগ ও অনিয়মতান্ত্রিক ব্যবহার ডেকে আনছে বিপর্যয়। তেমনি পলিথিন ও প্লাস্টিকের দ্রব্যের নানামুখী ব্যবহার আমাদের পরিবেশকে গ্রাস করছে।

আমরা আমাদের পূর্বের ভালো অভ্যাসগুলোকে ত্যাগ করে আধুনিকতা ও উন্নয়নের নামে প্রতিনিয়ত পরিবেশের ক্ষতি করে চলেছি। আমরা পণ্যের চাকচিক্য বৃদ্ধিতে এবং সহজে বহনযোগ্য বা সামান্য আরাম আয়েসের জন্য অতিমাত্রায় প্যাকেটজাত, বোতলজাত পণ্যের দিকে ঝুঁকে পড়ছি। সারা দেশের আনাচে কানাচে ছেয়ে গেছে এই প্যাকেজিং ও বোতলজাত পণ্য। যা কোন কোন ক্ষেত্রে সামান্য সুবিধা বয়ে আনলেও সামগ্রিকভাবে সীমাহীন ক্ষতি সাধন করছে। পলিথিন দামে সস্তা ও এর সহজ লভ্য ব্যবহার আজ গোটা পরিবেশকে হুমকির দিকে ঠেলে দিয়েছে। বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় ১৯৮২ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশে ব্যাপকভাবে এর প্রসার ঘটে।
পরিবেশবাদী বিভিন্নভাবে সংগঠনের পলিথিনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখে সরকার ২০০২ সালের মার্চ মাস থেকে সারাদেশে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার, উৎপাদন, বিপনন ও প্রদর্শনী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে এর ব্যবহার সাময়িকভাবে কমে গিয়েছিল জনজীবন ও পরিবেশের উপর তার ইতিবাচক প্রভাব ফেললেও খুব বেশিদিন এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।

ডাউনলোড করুন