English | Bangla
তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের আহ্বান
২১ মার্চ ২০২১ রাজধানীর মতিঝিলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ‘‘যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর’’, ‘‘ন্যাশনাল ইয়ূথ লিডারশীপ ফোরাম’’, ‘‘বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট’’, ‘‘প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন’’ এবং ‘‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টে’’র সম্মিলিত আয়োজনে “তামকামুক্ত বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যুব সমাজের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
 
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে সভায়  প্রধান অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আজহারুল ইসলাম খান। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মো: কামাল উদ্দিন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আকতারুজ জামান খান কবীর, যুউঅ পরিচালক দারিদ্র বিমোচন মাসুদা আকন্দ,  যুুুউঅ পরিচালক প্রশিক্ষণ আবদুল লতিফ মোল্লা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দ্যা ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম। সভাটি সঞ্চালনা করেন ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ ফোরামের প্রেসিডেন্ট একেএম নেয়ামত উল্লাহ বাবু।
 
গাউস পিয়ারী বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো নতুন ভোক্তা তৈরির লক্ষ্যে শিশু-কিশোর ও তরুণদের টার্গেট করে। এই তরুণদের রক্ষা করা এখন সকলের দায়িত্ব। বিদ্যমান আইনে তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। তরুণদের রক্ষায় এজন্য তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনতে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধন করা দরকার।
 
মো: আজহারুল ইসলাম খান বলেন, যুবদের তামাকমুক্ত রাখার জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কাজ করবে। আগামীতে যুব উন্নয়নের অধিদপ্তরের সকল প্রশিক্ষণে যুবকদের তামাকের কুফল সম্পর্কে সচেতন করা হবে। 
 
সৈয়দ মাহবুবুল আলম তার প্রবন্ধে উল্লেখ্য করেন ঢাকার রেস্তোরাগুলো ক্রমেই তামাক কোম্পানির প্রচারক্ষেত্রে হচ্ছে। যুবদের লক্ষ্য করে তামাক কোম্পানি ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরায় নানাভাবে তামাকের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আইনে সকল প্রকার তামাকের বিজ্ঞপন নিষিদ্ধ থাকলেও কোম্পানিগুলো নাটক, সিনেমা, অনলাইন প্লাটফমেগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তামাকের প্রচারণা চালাছে। কোম্পানির এ প্রচারণা রুখতে যুবদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তামাক কোম্পানির যেকোন প্রচারণা দেখলেই নিকটস্থ থানা, তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, জেলা টাস্কফোর্স কমিটি, জেলা প্রশাসক অফিস, তামাক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সংগঠনগুলোকে অবহিত করা সুনাগরিকদের দায়িত্ব। 
 
হেলাল আহমেদ বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্স্থু রাখতে আমাদের তরুণদের তামাকের আসক্তি থেকে মুক্ত রাখতে হবে। যাদের দক্ষতা ও সামর্থ্যে উপর ভিত্তি করছে আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। সেই সকল তরুণদের লক্ষ্য করে তামাক কোম্পানিগুলো আগ্রাসনী প্রচারণা চালাছে। তামাক কোম্পানিগুলোকে রুখতে না পারলে, তরুণরা দেশের সম্পদ না হয়ে বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তরুণদের রক্ষায় তামাক কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে আইনের সংশোধন এখন সময়ের দাবী।
 
মোহাম্মাদ কামাল উদ্দিন বলেন, যুবদের নেশামুক্ত রাখতে ধূমপান ও তামাককে নিরুৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে হবে। তামাকে আসক্তিরোধে নাটক-সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য প্রচার নিষিদ্ধ করা দরকার।
 
আকতারুজ্জামান খান কবীর বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে সকলকে নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। যুব উন্নয়নের সকল প্রশিক্ষণে অধুমপায়ীদের প্রাধান্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। 
 
মুক্ত আলোচনায় বিএনসিসি, বাংলাদেশ গার্ল গাইডস্ ,  বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ন্যাশনাল ইয়ূথ লিডারশীপ ফোরামের তরুণরা বক্তব্য রাখেন। সভায় আরো অংশ নেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, উপ-পরিচালকবৃন্দ। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, এইড ফাউন্ডেশন, টিসিআরসি-ডিআইইউ, নাটাব, বাচঁতে শিখ নারী, নবনিতা, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি, ডাস, অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো-ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।