English | Bangla
তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নে দ্রুত বিধিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন
দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবান করতে সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩  বাস্তবায়নে দ্রুত বিধিমালা প্রণয়ন জরুরী। ৭ সেপ্টেম্বর  ১১.০০ টায় ধানমন্ডির বিলিয়া সেন্টারে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট আয়োজিত “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন: বিধিমালা প্রণয়নে প্রত্যাশা” শীর্ষক সেমিনারে আলোচকরা এ দাবী জানান। উক্ত সেমিনারে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) এ. কে. এম মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায়, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) এম. আব্দুর সালাম, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিরেক্টর ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ অফিসার প্রশান্ত কুমার মন্ডল, র‌্যাপিড একশান ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল আমীন। সভাপতিত্ব করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট্রের পরিচালক (প্রোগ্রাম এ্যান্ড প্ল্যান) এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আমিনুল ইসলাম সুজন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান। 
 
এম.আব্দুর সালাম বলেন, তামাক শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষতি করেনা তার সাথে সম্পদেরও ক্ষতি করে। তাই আমাদের দেশের জনস্বাস্থ্য ও সম্পদ রক্ষার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে স্থানীয় পর্যায়ের জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্স সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা, আইন মনিটরিং, প্রয়োগ, বাস্তবায়ন, অভিযোগ গ্রহণ ও জনসচেতনতা, গবেষণাসহ অন্যান্য কার্যক্রম বিধি দ্বারা সুনির্দিষ্ট করা জরুরী। 
 
এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, আইন বাস্তবায়ন কার্যক্রম গতিশীলকরণে এ আইনের বিধিমালায় পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তির ক্ষমতা ও কার্যক্রম নির্দিষ্ট থাকা জরুরী। নিয়মিত তদারকি ও মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা প্রয়োজনবোধে এক/একাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন। 
 
কৃষ্ণপদ রায় বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনের প্রেক্ষিতে ধূমপানমুক্ত স্থানের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনের প্রয়োগ নিশ্চিতে সীমিত সংখ্যক কর্মকর্তার দ্বারা আইন বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ সম্ভব নয়। বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের জান মাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।  জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে পুলিশকে ক্ষমতায়ন করে আইনটির প্রয়োগ আরো জোড়ালো করা সম্ভব। 
 
মোহাম্মদ আল আমীন বলেন, অধিকাংশ মাদকাসক্ত ব্যক্তি তামাক গ্রহণের মাধ্যমে নেশা জগতে পা রাখে। মাদকের ভয়াবহতা রুখতে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তামাক নিয়ন্ত্রণে শুধু মাত্র আইন হলেই চলবে না। আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে সহজ করতে দ্রুত আইনের ব্যাখ্যা সম্বলিত বিধিমালা প্রণয়ন জরুরি। দ্রুত বিধিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ মনিটরিং সেলকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। 
 
এ. কে.এম মিজানুর রহমান বলেন, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের কারণে প্রতিবছর পৃথিবীতে ৬০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। এই মৃত্যু হ্রাসে তামাক চাষ বন্ধ ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নে এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে হবে। দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করতে সরকারকে এ আইন বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করা আমাদের সকলের কর্তব্য।  
 
প্রশান্ত কুমার মন্ডল,  তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের সকলকে ভূমিকা নিতে হবে। আইন প্রয়োগ সংস্থার পাশাপশি অভিভাবকদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তামাক নিয়ন্ত্রণে পরিবার থেকেই প্রথম আইন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। 
 
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল হেলাল আহমেদ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক ইবনুল সাইদ রানা, গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. আমির হাসান, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ কামাল আতাউর রহমান, পবা নির্বাহী কমিটির সদস্য একে এম সিরাজুল ইসলাম, সিটিএফকে এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইভা নাজনীন, নারী গ্রন্থ প্রবর্তনার মাহমুদা বেগম এবং ইসি বাংলাদেশ এর কর্মকর্তা এমদাদুল হক প্রমুখ।