English | Bangla
আসন্ন সংসদ অধিবেশনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ করার দাবী জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচী

স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির অন্যতম কারণ তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারজনিত অসংক্রামক রোগ ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণে জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশে জারুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৮ জানুয়ারী ২০১৩, মঙ্গলবার চারুকলার সামনে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর উদ্যোগ আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচীতে এ আহবান জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ যত বিলম্ব হবে দেশে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ তত বৃদ্ধি পাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ২৭.৩ ভাগ হৃদরোগ, শ্বাসতন্ত্রের অসুখ, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস এর কারনে হয়ে থাকে। তামাকের কারনে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ লক্ষ মানুষ ক্যান্সার, হৃদরোগ, যক্ষা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়, এর মধ্যে ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায় ও প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছে। তামাক ব্যবহারে হৃদরোগ, ষ্ট্রোক, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস এর মতো ভয়াবহ অসয়ক্রামক রোগগুলোতে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু মানুষ অসুস্থ্যই হচ্ছে না, মানুষের অর্থও অপচয় হয়। এছাড়া তামাকজনিত রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সরকারেরও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বেড়ে যায়।

হিলের সভাপতি জেবুন্নেসা বলেন, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে জোরালোভাবে এগিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণামূলক কর্যক্রম জোরদার করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে কোমল পানীয়, ফাস্টফুড, জাঙ্কফুডসহ বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো বন্ধ করতে হবে। যেহেতু অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল সেক্ষেত্রে চিকিৎসা অপেক্ষা প্রতিরোধ ব্যবস্থায় জোর দিতে হবে।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসী অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান বলের, সরকার মন্ত্রী সভায় তামাক নিয়ন্ত্রন আইন সংশোধনে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই, আমরা আশা করি সরকার জনস্বাস্থ্য রক্ষার কথা বিবেচনা করে এ আইনটি দ্রুত পাস করবে।

প্রত্যাশার সেক্রেটারী হেলাল আহমেদ বলেন, ধূমপানমুক্ত স্থান বৃদ্ধি হলে ধূমপায়ীদের ধুমপানের প্রবণতা অনেক কমে যাবে এবং মানুষ পরোক্ষ ধূমপান হতে রক্ষা পাবে। তাই তামাক সংক্রান্ত আইনের বিধান কার্যকর করতে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। পুলিশ, চিকিৎসক, শিক্ষকসহ সরকারের বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তাদের তাদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে আইনটি প্রয়োগ ও জরিমানা আদায়ের ক্ষমতা প্রদান করা হলে আইনটির বাস্তবায়ন আরো সহজতর হবে।  

ডাব্লি¬উবিবি ট্রাস্টের নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা অদুত রহমান ইমনের-এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক এনাম আহমেদ, পল্লী সেবা সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন, ইউনাইটেড পিপলস ট্রাস্ট এর নির্বাহী পরিচালক মো. আালী হাজারী, মানবিকের প্রজেক্ট অফিসার মাসুদ রানা, ইয়ূথ ইয়াস্টের এস আর শুভ, ইকো সোসাইটি চেয়ারম্যান শেখ আরিফ আহমেদ, বিসিএইসআরডির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক, অরুনোদয়ের তরুণ দলের নির্বাহী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বাবু, সিরাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত, সততা জন কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলাম, মানবাধিকার সংগঠনের  সমন্বয়কারী রাশেদ হাওলাদার, সেিদ্বশরী গালর্স কলেজের ছাত্রী অনন্যা সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।