English | Bangla
নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে আইন অনুযায়ী সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবানী নিশ্চিতের দাবীতে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর অবস্থান কর্মসূচি

জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকার ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ সংশোধন এবং ২০১৫ সালে সংশোধিত আইনের বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। সংশোধিত আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী আগামী ১৯ মার্চ থেকে সচিত্র স্বাস্থ্য সর্তকবাণী সম্বলিত প্যাকেট ব্যতিত কোন তামাকজাত দ্রব্য বাজারজাত বা বিক্রয় করা যাবে না। কিন্তু বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সর্তকবাণী প্রদানের বিষয়টি বাধাগ্রস্থ করতে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে এবং নানা ধরনের অপকৌশল প্রয়োগ করছে। তামাক নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পন্থা ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী।
২৭ জানুয়ারী ২০১৬ সকাল সাড়ে দশ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অরুনোদয়ের তরুণ দল, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটসহ মোট ৮টি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তামাকের কারণে অকালমৃত্যুর শিকার মানুষদের স্মরণে কালো কাপড় পরিধান করে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন’র সাধারন সম্পাদক হেলাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আলোচনা করেন এইড’র নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান, গ্রীন মাইন্ড সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক আমির হাসান, এলআরবি ফাউন্ডেশন’র নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা, টিসিআরসি’র গবেষনা সহকারী ফারজানা জামান লিজা, অরুনোদয়ের তরুণ দলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবু প্রমুখ। কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা।
হেলাল আহমেদ বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করা হলে তামাকের স্বাস্থ্যক্ষতির বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও তামাকের ব্যবহার কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। আর্ন্তজাতিক অভিজ্ঞতা অনুসারে তামাকের ব্যবহার কমাতে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমিনুল ইসলাম বকুল বলেন, তামাক কোম্পানিগুলোর বিভ্রান্তিকর প্রচারণা এবং নানা অপকৌশলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আমরা আশাবাদী সরকার আইন অনুসারে স্বাস্থ্যসর্তকবাণী প্রদাণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যহত রাখতে অটল থাকবে ।
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাকের কারণে অকালমৃত্যু রোধে প্রয়োজন তামাজাত দ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্য সর্তকবানী। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী করে সরকার জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে যে ধরনের দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করেছে জনগনের প্রত্যাশা আগামী ১৯ মার্চ ২০১৬, এর মধ্যে অবশ্যই সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ধারা অব্যহত রাখবে ।
আমির হাসান বলেন বলেন, ধূর্ত তামাক কোম্পানিগুলোর নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে এবং তামাক কোম্পানির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সামাজিক আন্দোলনকে বেগবান করা প্রয়োজন।
ফারহানা জামান লিজা বলেন, ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও ২০১৫ সালে বিধিমালা পাস হওয়ার পর মানুষের মধ্যে আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গতিশীলকরণে প্রয়োজন সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী।
শহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী মুদ্রন করা হলে তামাক ব্যবহার থেকে যেমন যুবসমাজ রক্ষা পাবে তেমনি করে ধূমপায়ীরাও ধূমপান ত্যাগ করতে উৎসাহী হবে।