English | Bangla
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, বাসা, বিনোদনকেন্দ্রসহ সর্বত্র নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিত করার আহ্বান
 
মানুষের সুস্বাস্থের জন্য কর্মস্থলে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। সড়ক, মার্কেট, বিনোদনকেন্দ্রসহ অন্যান্য গণপরিসর এবং স্থাপনায় যথাযথ পাবলিক টয়লেট না থাকায় স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ উভয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শুধুমাত্র টয়লেট স্থাপন করলেই হবে না, পাশাপাশি নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের বিষয়টিও গুরুত্ব দিতে হবে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সকলের জন্য ব্যবহার উপযোগী টয়লেট স্থাপনে সুষ্ঠু নীতিমালা, নির্দেশিকা এবং পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। গত ১৯ নভেম্বর  সকাল ১১.০০ টায় বিশ্ব টয়লেট দিবস ২০১৬ উপলক্ষ্যে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ধানমন্ডি সাত মসজিদ সড়ক সংলগ্ন আবাহনী মাঠের সামনে “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থাান, বাসা, বিনোদনকেন্দ্রসহ সর্বত্র নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিত করা হোক” শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। 
 
বক্তরা বলেন, প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্ব টয়লেট দিবস পালিত হয়। সকলের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিত করাই বিশ্ব টয়লেট দিবসের উদ্দেশ্য। বিশ্বে প্রায় ২৫০ কোটি মানুষ টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। পয়ঃনিষ্কাশন  ব্যবস্থার  অপর্যাপ্ততার ফলে জীবিকার ওপর এর প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে টয়লেটগুলো নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়ায় সেগুলো মানুষ ব্যবহার করছে না। ইতিমধ্যে দুই সিটি কর্পোরেশন পাবলিক টয়লেট স্থাপনে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, তা দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়া দরকার। ভাসমান মানুষ যারা ফুটপাতে থাকে বা শহরে চলাচল করে তাদের জন্য পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর টয়লেটের মান উন্নত করতে হবে। এছাড়া মানুষকে পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
 
বক্তারা আরো বলেন, পাবলিক টয়লেটগুলোতে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সকলের জন্য প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরী। পাবলিক টয়লেটের মান উন্নয়ন করতে হবে। পাশাপাশি এগুলোর ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহী করতে হবে। প্রতিটি টয়লেটে প্রয়োজনীয় সাবান, পানি, তোয়ালে, টয়লেট পেপার এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। পর্যাপ্ত নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পাবলিক টয়লেট না থাকায় বিশেষ করে  নারী, শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সবচেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমানে বেশিরভাগই অপরিচ্ছন্ন ও নিরাপত্তাহীন হওয়ায়  কর্মজীবি ও পেশাজীবি নারীরা কম সংখ্যক বার টয়লেট ব্যবহারের কারণে নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন ।
 
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে ও প্রকল্প কর্মকর্তা আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারুফ হোসেন, সৈয়দা অন্যন্যা রহমান, সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা তালুকদার রিফাত পাশা, জনস্বার্থ ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক ডি এম সাকলাইন, এইড ফাউন্ডেশন এর প্রোগ্রাম অফিসার স্বজল কুমার মৈত্র,  স্পেস এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম।  এছাড়া মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজনীন কবীর, প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আক্তার রিনি, ফাহমিদা ইসলাম, সহকারি এডভোকেসি অফিসার নাইমা আক্তার, ইনিস্টিটিউট অব ওয়েলবিং এর ইউর্থ কোর্ডিনেটর মেনডি ইন্দ্রানী মুকুতি প্রমূখ।