English | Bangla
নির্বাচনের সময়কালে সকল ভোটকেন্দ্র সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত করার দাবী

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের একটি প্রতিনিধিদল আগারগাঁও নির্বাচন কামশনারের কার্যালয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর সচিব মো. জাহাংগীর আলম এর সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন । সাক্ষাৎকালে নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে “হুক্কা” কে বাদ দেওয়া এবং জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় নির্বাচনের সময়কালে সকল ভোটকেন্দ্র সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত ঘোষনা করার বিষয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয় । উক্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে করবেন বলে আশ্বাস ব্যক্ত করেন ।

আলোচনাকালে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে বলা হয় , সরকার জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নানা ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে দেশে বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অকাল এবং প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার। ইতিমধ্যেই মাননীয় ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তামাক নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার ও পল্লী  উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয় , রেলপথ মন্ত্রণালয়,যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সরকার নানা ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করলেও নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে প্রদত্ত গেজেটে বাংলাদেশে বিভিন্ন নির্বাচনের প্রতীক হিসাবে এখনো “হুক্কা” প্রতীক হিসাবে বিদ্যমান। নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করা ব্যক্তিবর্গ সাধারনত তাদের প্রতীক প্রদর্শনের মাধ্যমেই জনগনের কাছে ভোট প্রত্যাশা করে থাকে। নির্বাচনে হুক্কা প্রতীক থাকা কোনভাবেই জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক নয় বিধায় উক্ত প্রতীক টি বাতিল করা জরুরি। এছাড়াও প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে) নির্বাচনে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উৎসাহিত করে এরূপ প্রতিক “হুক্কা” বাতিল করা , নির্বাচনী প্রচারণায় তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা, নির্বাচনকালীন সময়ে সকল বুথ , নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকা ধূমপানমুক্ত ঘোষনা করা এবং নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানে আইন অনুসারে ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপন নিশ্চিত করা বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। সাক্ষাতকালে উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, হেড অব প্রেগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান, ডাস্ এর টিম লিডার আমিনুল ইসলাম বকুল, টিসিআরসির প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন।