English | Bangla
গেন্ডারিয়ার দোকান মালিক সমিতির তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে সমর্থন প্রকাশ

তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপনের আইন সম্পর্কে এলাকার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারনা বন্ধে ঢাকা জেলা প্রশাসনসহ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত প্রতিষ্ঠানগুলো। ১১ জুলাই ২০১৫ বিকাল ৪টায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং প্রদেশ এর যৌথ উদ্যোগে গেন্ডারিয়ায় অবস্থিত মহিলা সমিতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শ্রেনী কক্ষে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঘাসফুল শিশু কিশোর সংগঠনের সভাপতি মোঃ মাসকুর রহমান মাসুক এবং সঞ্চালনা করেন প্রদেশ এর নির্বাহী পরিচালক অনাদী কুমার মন্ডল। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল হেলাল আহমেদ, ফজলুল হক মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রভাষক রেজাউল করিম, নিকেতন সমাজ কল্যান সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, মিরপুর বাংলা কলেজ এর সহকারী অধ্যক্ষ এ.টি.এম আব্দুল লতিফ, এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ডাঃ মোজাফফর হোসেন এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সহকারী এডভোকেসী অফিসার শুভ কর্মকার প্রমুখ।
সভার সভাপতি মোঃ মাসকুর রহমান মাসুক বলেন, কোম্পানী কর্তৃক প্রচারিত তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে উৎসাহিত করছে। আইনে অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারণা এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আমাদের কল্যাণে প্রণীত, সুতরাং আমরা চাইলে এ আইন বাস্তবায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারি।
হেলাল আহমেদ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে অঙ্গিকার বদ্ধ হতে হবে। সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবীতে সরকারের পাশাপাশি ব্যাপক ভূমিকা রাখতে হবে। সরকার তামাক চাষীদের তামাক চাষের পরিবর্তে বিকল্প লাভজনক ফসল চাষ করার পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। তাছাড়াও তিনি সকলকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।
তামাকের ক্ষতিকর দিকসমূহ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন তুলে ধরে শুভ কর্মকার বলেন, দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন থাকা সত্বেও তামাক কোম্পানিগুলো নানাভাবে আইনভঙ্গ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সকল ধরণের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ এবং আইন অমান্যে জরিমানা এক লক্ষ টাকা। সরকার বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ সকল বিজ্ঞাপন অপসারণ করলেও কোম্পানিগুলো দোকানীদের নানাভাবে প্রলুব্ধ করে বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন প্রদান করছে। 
রেজাউল করিম বলেন, প্রত্যক্ষ ধূমপানে যেমন মানবদেহে নানাধরনের ক্ষতি হয় তেমনি পরোক্ষ ধূমপানেও এর ক্ষতি ব্যাপক। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের ফলে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আইনে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের পাশাপাশি ১৮ বছরের নিচে কারো কাছে এবং কারো দ্বারা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বন্ধের কথা বলা হয়েছে। জনস্বার্থে প্রণীত এ আইনটি বাস্তবায়নে তিনি তার এলাকার পক্ষ থেকে সক্রিয় সহযোগিতা এবং আইন বাস্তবায়নে আশ্বাস ব্যক্ত করেন।