English | Bangla
তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের দাবি

২২শে এপ্রিল ২০১৫ টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) ও  ডাবিøউবিবি ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে রাজধানীর পান্থপথ মোড়ে এক মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) সহযোগী অধ্যাপক এনামুল হক এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন টিসিআরসি’র সদস্য সচিব ও ডিআইইউ’র সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান, সহকারী গবেষক মো. মহিউদ্দিন রাসেল, ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট এর উন্নয়ন কর্মকর্তা আয়েশা আরাফাত ইকরা প্রমুখ।

উক্ত কর্মসূচিতে তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটে ৯০ ভাগ স্থানজুড়ে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ক্ষতি সম্পর্কিত স্বচিত্র সতর্কবাণী  মুদ্রন করার ব্যাপারে দাবি তোলা হয়। জনগনকে এ ব্যাপারে সচেতন করার লÿে গ্রীণরোড এলাকায় লিফলেট বিলি করা হয়। লিফলেট এ উলেøখ করা হয় যে , সকল তামাক জাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করতে হবে। প্যাকেটের মূল প্রদর্শনী তলের উপরিভাগে নূন্যতম শতকরা পঞ্চাশ ভাগ পরিমান স্থান জুড়িয়া তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের কারনে সৃষ্ট ক্ষতি সম্পর্কে রঙ্গিন ছবি ও লেখা সম্বলিত, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বাংলায় মুদ্রন করতে হবে। বাংলাদেশে বিক্রিত তামাকজাত দ্রব্যের সকল প্যাকেট, মোড়ক, কার্টন ও কৌটায় “শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিক্রয়ের জন্য অনুমোদিত” মর্মে একটি বিবৃত মুদ্রিত না থাকিলে বাংলাদেশে কোন তামকাজাত দ্রব্য বিক্রয় করা যাবে না।
 টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) এর সদস্য সচিব ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান বলেন- বর্তমানে তামাক জাত দ্রব্যের মোড়কে যে সতর্কবানী রয়েছে তা গরীব, দিনমজুর ও গ্রামের অÿর জ্ঞানহীন অনেকেই তা বুঝতে পারেনা। তবে যদি মোড়কের ৯০% স্খানজুড়ে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ক্ষতি সম্পর্কিত স্বচিত্র সতর্কবাণী দেওয়া হয় তারা সহজেই বুঝতে পারবে। এক গবেষণায় দেখা যায়, ২০%-৫০% লোক যারা তামাক জাত দ্রব্যে সেবন করে কিন্তু সঞ্চয় সম্পর্কে যানে না। তারা যদি যে পরিমান অর্থ তামাকের জন্য খরচ করে তা না করে যদি সঞ্চয় করত তবে তাদের অর্থসামাজিক ও জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত হত।
এছাড়া ও ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট এর উন্নয়ন কর্মকর্তা আয়েশা আরাফাত ইকরা দাবি জানান যে, দÿিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন - শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকি¯Íান, নেপাল থেকে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে পড়েছে। যেখানে নেপালের মত দেশে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর ছাত্র রনি বলেন, তামাক যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। আর এই যুব সমাজকে সচেতন করার লÿে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অপর এক ছাত্র সোহান বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশের মত বাংলাদেশের উচিত অতিদ্রুত তামাক জাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।

তামাকের ÿতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উলেøখ যোগ্য ভ‚মিকা পালন করে আসছে। উক্ত কর্মসূচীটির সভাপতিত্ব করেন এনামুল হক।