English | Bangla
তামাকের অবৈধ প্রচারনা বন্ধের আহবান জানিয়ে আজিমপুরে মতবিনিময় সভা

আইনানুসারে তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ প্রচারনা বন্ধ এবং ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ বা¯Íবায়নের লÿ্যে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো। ২৮ জুলাই ২০১৫ বিকাল ৪টায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবিøউবিবি) ট্রাস্ট, বিসিএইচআরডি এবং রেইনবো নারী ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন’র যৌথ উদ্যোগে ৩৯ নবাবগঞ্জ রোড (আজিমপুর) এ স্থানীয় দোকান মালিক সমিতির সভা কÿের সম্মুখে মতবিনিময় আযোজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রেইনবো নারী ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন- এর নির্বাহী পরিচালক মো: খায়রুল আলম এবং সঞ্চালনা করেন ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট এর উন্নয়ন কর্মী আ. ন. ম. মাছুম বিলøাহ ভুইয়া। এয়াড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি হেলাল আহমেদ, গ্রামীন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম সরকার, বিসিএইচআরডি’র নির্বাহী পরিচালক মাহবুল হক, রেইনবো নারী ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান নাফিজা সুলতানা ও ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট এর সহকারী এডভোকেসি অফিসার শুভ কর্মকার প্রমুখূ।

হেলাল আহমেদ বলেন, কোম্পানী কর্তৃক প্রচারিত তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে উৎসাহিত করছে। আইনে অনুসারে তামাকজাতদ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারণা এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আমাদের কল্যাণে প্রণীত সুতরাং আমরা চাইলে এ আইন বা¯তবায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারি।
দেশে চার কোটি নারী কর্মস্থলে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। অধূমপায়ী নারী, শিশুদের রক্ষায় পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপানমুক্ত রাখা দরকার।
 
খায়রুল আলম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের ফলে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আইনে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের পাশাপাশি ১৮ বছরের নিচে কারো কাছে এবং কারো দ্বারা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বন্ধের কথা বলা হয়েছে। জনস্বার্থে প্রণীত এ আইনটি বা¯তবায়নে তিনি তার সংগঠন এর পক্ষ থেকে সক্রিয় সহযোগিতা আশ্বাস ব্যক্ত করেন।

তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে মো: নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সকল ধরণের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হওয়া স্বত্বেও কোম্পানিগুলো নানাভাবে আইনভঙ্গ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে। বর্তমানে বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন প্রচারণার ক্ষেত্রে বড় একটি কৌশল। সরকার বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ সকল বিজ্ঞাপন অপসারণ করলেও কোম্পানিগুলো দোকানীদের নানাভাবে প্রলুব্ধ করে বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন প্রদান করছে। এমতাবস্থায়, তামাক নিয়ন্ত্রন আইনকে বা¯Íবায়নের লÿ্যে আমাদের সকলের এগিয়ে আসতে হবে।