English | Bangla
নারীর গৃহস্থালি কাজে পরিবারের সকলে ভূমিকা রাখতে হবে
নারী ঘরে রান্না করা, ঘর গোছানো, সন্তানের যতœ নেয়া, লেখাপড়ায় সহযোগিতা প্রদান, নৈমত্তিক বাজার করা, কাপড় ধোয়াসহ বিভিন্নরকম কাজ করে। তবু সাধারন নারীরা কোন কাজই করেন নাÑ এমন ধারণা সমাজের সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত। সাথে আরও একটি  ধারণা সবার মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় পরিবারের সকল কাজ নারীর দ¦ারা সম্পাদন করা হবে। এ ধারণা পরিবর্তনে নারীর গৃহস্থালি কাজের গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং পরিবারে সবার কাজের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দিতে “ আমি কিছুই করিনা” ও “একসঙ্গে কাজ করি সুখী পরিবার গড়ি”- দুটি তথ্যচিত্রের প্রচারণা প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 
 
গত ৫ই ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ১১টায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং আশা  ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে আশা ইউনির্ভাসিটি ক্যাম্পাসের সেমিনার রুমে তথ্যচিত্র প্রচারণা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন আশা ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ এর এ্যাডভাইজর প্রফেসর মাঈনউদ্দিন খান, মূূল বক্তব্য দেন হেলথব্রিজ এর আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরমসন, সেমিনার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তানজিলা চৌধুরী, সহকারী এডভোকেসী অফিসার, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং জিসান মাহমুদ, আশা ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ।
 
আরও বক্তব্য দেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ইকোনোমিক এন্ড সোস্যাল জাষ্টিজ ডিপার্টমেন্ট এর ডেপুটি প্রোগ্রাম অফিসার নাজনীন কবির, প্রফেসর ড : আবু দাউদ হাসান, ডীন, ফ্যাকালটি অব আর্টস এন্ড সোস্যাল সাইমন, আশা ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ, প্রফেসর এস আমিনুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, অ্যাপ্লায়িড স্যোসিওলোজি বিভাগ, আশা ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ। 
 
প্রফেসর মাঈনউদ্দিন খান বলেন, যে সকল নারী কর্মজীবি তাদের যেভাবে সম্মান দেখানো হয় সমাজে ঠিক একই রকম সম্মান দেখানো হয় না যারা ঘরে কাজ করেন, অর্থনীতিতে উন্নয়নের সবচেয়ে বড় শক্তি নারী, তাই নারীদের সকল কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে। নাজনীন কবির বলেন, সাধারণত একজন পুরুষ মানুষ তার কর্মক্ষেত্রে কাজ করেন আট ঘন্টা আর একজন নারী ঘরে কাজ করেন দৈনিক আঠার ঘন্টা কিন্তু নারীর কাজের স্বীকৃতি দেয়া হয় না, নারীর কাজের স্বীকৃতি টাকার অংকে নয়, সন্মান দিয়ে দেয়া প্রয়োজন। প্রফেসর ড : আবু দাউদ হাসান বলেন, নারীর গৃহস্থালী কাজের স্বীকৃতি তার অধিকার, সুতরাং তাকে তার প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে, পৃথিবীতে এমন একটি পরিবার পাওয়া যাবেনা যে পরিবারের মূল শক্তি হিসেবে নারীর অবদান নেই। হেলথব্রিজ এর আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরমসন বলেন, পৃথিবীতে আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশী দামি আমাদের শিশু, শিশুদের দেখাশোনা আর বয়স্ক মানুষদের সেবা করা থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজ করে নারী, এতো কিছুর পর যখন শিশুটিকে বা পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হয় তোমার মা কি করে? শিশুটি বলে আমার মা কিছুই করে না, আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। 
 
আশা ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ এর এ্যাডভাইজর প্রফেসর মাঈনউদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নাঈমা আক্তার, সহকারী এডভোকেসী অফিসার, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, আলভী আহমেদ অর্ক, ইর্ন্টান, ইন্সটিউট অব ওয়েলবিইং, আশা ইউনির্ভাসিটি এর শিক্ষক ও শিক্ষাত্রীবৃন্দ।