English | Bangla
নারীর গৃহস্থালি কাজে পরিবারের সকলে ভূমিকা রাখতে হবে

নারী ঘরে রান্না করা, ঘর গোছানো, সন্তানের যতœ নেয়া, লেখাপড়ায় সহযোগিতা প্রদান, নৈমত্তিক বাজার করা, কাপড় ধোয়াসহ বিভিন্নরকম কাজ করে। তবু সাধারন নারীরা কোন কাজই করেন নাÑএমন ধারণা সমাজের সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত। সাথে আরও একটি  ধারণা  সবার মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় পরিবারের সকল কাজ নারীর দ¦ারা সম্পাদন করা হবে। এ ধারণা পরিবর্তনে নারীর গৃহস্থালি কাজের গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং পরিবারে সবার কাজের গুরুত্ব সম্পর্কে  ধারণা দিতে “ আমি কিছুই করিনা” ও “একসঙ্গে কাজ করি সুখী পরিবার গড়ি”- দুটি তথ্যচিত্রের প্রচারণা প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 
 
গত ৩রা ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ১১টায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং স্ট্যাম্পফোর্ড  ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে স্ট্যাম্পফোর্ড  ইউনির্ভাসিটির ধানমন্ডি ক্যাম্পাসের সেমিনার রুমে তথ্যচিত্র প্রচারণা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন স্ট্যাম্পফোর্ড  ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ এর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর  ড : কে মওদুদ ইলাহি, মূূল বক্তব্য দেন হেলথব্রিজ এর আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরমসন, সেমিনার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জুসি ডায়না বিশ্বাস, আ্যসিসটেন্ট প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট অব এনভাইরনমেন্ট সাইন্স, স্ট্যাম্পফোর্ড  ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ ।  আরও বক্তব্য দেন ঢাকা ইউনির্ভাসিটির ওমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর সোমা দে, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ইকোনোমিক এন্ড সোস্যাল জাষ্টিজ ডিপার্টমেন্ট এর ডেপুটি প্রোগ্রাম অফিসার নাজনীন কবির, ড: আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার এসোসিয়েট প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট অব এনভাইরনমেন্ট সাইন্স, স্ট্যাম্পফোর্ড  ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ । 
 
বক্তারা বলেন, যে সকল নারী কর্মজীবি তাদের যেভাবে সম্মান দেখানো হয় সমাজে ঠিক একই রকম সম্মান দেখানো হয় না যারা ঘরে কাজ করেন। স্ট্যাম্পফোর্ড  ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ এর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর  ড : কে মওদুদ ইলাহি বলেন,সাধারণত একজন পুরুষ মানুষ তার কর্মক্ষেত্রে কাজ করেন আট ঘন্টা আর একজন নারী ঘরে কাজ করেন দৈনিক আঠার ঘন্টা কিন্তু নারীর কাজের স্বীকৃতি দেয়া হয় না। ঢাকা ইউনির্ভাসিটির ওমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর সোমা দে বলেন, নারীর অধিকার হলো মানবাধিকার, নারীর গৃহস্থালী কাজের স্বীকৃতি তার অধিকার, সুতরাং তাকে তার প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে। হেলথব্রিজ এর আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরমসন বলেন পৃথিবীতে আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশী দামি আমাদের শিশু, শিশুদের দেখাশোনা আর বয়স্ক মানুষদের সেবা করা থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজ করে নারী, এতো কিছুর পর যখন শিশুটিকে বা পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হয় তোমার মা কি করে? শিশুটি বলে আমার মা কিছুই করে না, আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। 
 
স্ট্যাম্পফোর্ড  ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ এর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড: কে মওদুদ ইলাহি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তানজিলা চৌধুরী, সহকারী এডভোকেসী অফিসার,ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, সাবিহা সুলতানা, প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট অব জিওগ্রাফী এন্ড এনভাইরনমেন্ট এবং স্ট্যাম্পফোর্ড  ইউনির্ভাসিটি এর শিক্ষক ও শিক্ষাত্রীবৃন্দ।