English | Bangla
গৃহস্থালী কাজে নারীর অবদান : আমাদের ভাবনা

নারী ঘরে রান্না করা, ঘর গোছানো, সন্তানের যতœ নেয়া, লেখাপড়ায় সহযোগিতা প্রদান, নৈমত্তিক বাজার করা, কাপড় ধোয়াসহ বিভিন্নরকম কাজ করে। তবু সাধারন নারীরা কোন কাজই করেন না। এমন ধারণা সমাজের সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত। সাথে আরও একটি  ধারণা সবার মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় পরিবারের সকল কাজ নারীর দ¦ারা সম্পাদন করা হবে। এ ধারণা পরিবর্তনে নারীর গৃহস্থালি কাজের গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং পরিবারে সবার কাজের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দিতে “ আমি কিছুই করিনা” ও “একসঙ্গে কাজ করি সুখী পরিবার গড়ি”- দুটি তথ্যচিত্রের প্রচারণা প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 
 
 
১৪ই ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ১১টায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং স্বপ্নের সিঁিড় সমাজকল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে মোহাম্মদপুরে কামরাঙ্গীচরে তথ্যচিত্র প্রচারণা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন স্বপ্নের সিঁড়ি সমাজকল্যান সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারন সম্পাদক উম্মে সালমা, সহসভাপতি ইসরাত জাহান লতা, ৫৫ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরে আলম চৌধুরী, কে.সি. কিন্ডারগার্ডেন এর প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা মীরা, এস এ ইন্টারন্যাশনাল স্কুরের প্রধান শিক্ষক  মোসাম্মত শামীমা আক্তার,  ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজনীন কবির, সহকারী এডভোকেসী অফিসার তানজিলা চৌধুরী, সমাজ উন্নয়নে সক্রিয় কর্মীগণ।
 
স্বপ্নের সিঁড়ি সমাজকল্যান সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারন সম্পাদক উম্মে সালমা, যে সকল নারী কর্মজীবি তাদের যেভাবে সম্মান দেখানো হয় সমাজে ঠিক একই রকম সম্মান দেখানো হয় না যারা ঘরে কাজ করেন, অর্থনীতিতে উন্নয়নের সবচেয়ে বড় শক্তি নারী, তাই নারীদের সকল কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে। নাজনীন কবির বলেন, সাধারণত একজন পুরুষ মানুষ তার কর্মক্ষেত্রে কাজ করেন আট ঘন্টা আর একজন নারী ঘরে কাজ করেন দৈনিক আঠার ঘন্টা কিন্তু নারীর কাজের স্বীকৃতি দেয়া হয় না, নারীর কাজের স্বীকৃতি টাকার অংকে নয়, সন্মান দিয়ে দেয়া প্রয়োজন। ৫৫ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরে আলম চৌধুরী বলেন, নারীর গৃহস্থালী কাজের স্বীকৃতি তার অধিকার, সুতরাং তাকে তার প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে, পৃথিবীতে এমন একটি পরিবার পাওয়া যাবেনা যে পরিবারের মূল শক্তি হিসেবে নারীর অবদান নেই। তানজিলা চৌধুরী, বলেন, পৃথিবীতে আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশী দামি আমাদের শিশু, শিশুদের দেখাশোনা আর বয়স্ক মানুষদের সেবা করা থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজ করে নারী, এতো কিছুর পর যখন শিশুটিকে বা পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হয় তোমার মা কি করে? শিশুটি বলে আমার মা কিছুই করে না, আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। কে.সি. কিন্ডারগার্ডেন এর প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা মীরা বলেন, নারীদের সমস্যাগুলো খুঁেজ তা সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে। শিক্ষায় নারীদের সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। 
 
 
৫৫ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরে আলম চৌধুরী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিসহ আরও অনেকে।