English | Bangla
জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তামাক কোম্পানির প্রভাব প্রতিহত করা জরুরি ;মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞদের অভিমত
ধূর্ত তামাক কোম্পানিগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণসহ জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে গৃহিত সরকারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে নানারকম কূট-কৌশলের আশ্রয় নেয়। এজন্য তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশে দূর্নীতিকেও উৎসাহিত করেছে। বাংলাদেশেও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি দুর্নিতীর আশ্রয় নিয়েছে। এ ধরণের অপচেষ্টাকে কঠিনভাবে প্রতিহত করা দরকার। এজন্য আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) এর আর্টিকেল ৫.৩ অনুযায়ী সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে নীতিমালা (কোড অব কন্ডাক্ট) গ্রহণ করা দরকার। 
 
৩০ নভেম্বর, ২০১৬ সকালে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র আয়োজনে রায়ের বাজারে সংস্থার নিজস্ব কনফারেন্স রুমে একটি মতবিনিময় সভায় এ আহবান জানানো হয়। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘সমস্বর’ এর নির্বাহী সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সুজন এতে আর্টিকেল ৫.৩ অনুযায়ী সম্ভাব্য নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। নীতিমালা কেমন হওয়া উচিত এ সম্পর্কে মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরে আলোচনা করেন প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন’র সেক্রেটারী জেনারেল হেলাল আহমেদ, একলাব’র নির্বাহী পরিচালক তরিকুল ইসলাম, এইড ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল, তামাক বিরোধী নারী জোটের সমন্বয়ক সাঈদা আক্তার, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রশাসনিক পরিচালক গাউস পিয়ারী, কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান প্রমূখ।
 
আমিনুল ইসলাম সুজন বলেন, সরকার যেহেতু আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ও অনুস্বাক্ষর করেছে এবং এর আলোকে দেশে আইন ও নীতিমালা পাস করেছে। এ কারণে এফসিটিসি ও এর আর্টিকেলসমূহ প্রতিপালন করা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক। এফসিটিসির আর্টিকেল ৫.৩কে তামাক নিয়ন্ত্রণে রক্ষাকবচ বলা হয়। এ আর্টিকেল বাস্তবায়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার আলোকে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানেরই নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। 
তিনি আরো বলেন, তামাক কোম্পানির সঙ্গে সরকারের ও সরকারের কোন প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক কিরূপ হবে, কি প্রক্রিয়ায় সরকার তামাক কোম্পানির আইন লঙ্ঘণ প্রতিহত করবে, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা ও অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মসূচি প্রতিহত করবে সে সম্পর্কে বলা হয়েছে। এতে সরকারি কর্মকর্তাদের তামাক কোম্পানির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বিষয়কে নিরুৎসাহিত ও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে স্ব”ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।