English | Bangla
নারীর অবদান স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব
সারা বিশ্ব আজ সহস্রাব্দের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শেষে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক্ষেত্রে উন্নয়নকে টেকসই রূপ দিতে হলে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে হবে। কৃষিক্ষেত্র ও গৃহস্থালী থেকে শুরু করে সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারীর অবদান রয়েছে। নারীর এ অবদানকে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। নারীর অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নারীর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাদের স্বাবলম্বী করা এবং নারীদের নিজেদের ভাগ্য নিজেদেরই গড়ে তোলার সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। সর্বপরি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করতে হবে।  আজ ২৩ ফেব্র“য়ারী ২০১৬ সকাল ১১.০০ টায় ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর কৈবর্ত সভাকক্ষে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত আগামি ৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে অলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। 
 
আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার বলেন, সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীরর অধিকার নিশ্চিত করতে হলে শুধু আইন দিয়ে নয় বরং মনমানষিকতার ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমেই তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সমাজে সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ এর ফলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারীর অবদান পরিলক্ষেত হচ্ছে। কিন্তু এটা সামগ্রিক উন্নয়ন সাধনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। অতীতে পারিবারিক কাজে পুরুষের নির্দিষ্ট কিছু ভূমিকা ছিল বর্তমানে সে সব ক্ষেত্রেও নারীরা সম অংশগ্রহণ করছে। কাজেই নারীদের কর্মকান্ড সমাজকে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।
 
আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্যে হেল্থব্রীজের আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন বলেন, বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, তাদের উন্নয়ন ব্যতীত দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারীগণ যেসক ক্ষেত্রে শ্রম দিচ্ছেন তাদের সকল শ্রমের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে আে বেশি ত্বরান্বিত করা সম্ভব। দেশের উন্নয়নের ধারা থেকে নারীরা যাতে বাদ না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
 
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের ডেপুটি কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নাজনীন কবির বলেন, বাংলাদেশের নারী সমাজ আজ অনেক দূর এগিয়েছে। আজ সমাজে ও অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে। নারীর সমঅধিকার, নেতৃত্ব ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে আরো বেশী সচেতন হতে হবে। তিনি আরো বলেন, গৃহস্থালী কাজে নারীর অবদান স্বীকৃতির মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব।
 
সমাপনি বক্তব্যে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারি বলেন, দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান সকল উৎপাদনে বাংলাদেশের উন্নয়নের নারীরাই মূল চাবিকাটি। তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠায় সকলকে এক যোগে কাজ করে যেতে হবে। সমাজ ব্যবস্থায় নারীর সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সকল প্রকার উন্নয়নকে টেকসই রূপদান করা সম্ভব। 
 
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের সহকারি এডভোকেসি অফিসার তানজিলা চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির রিসার্চ এসিট্যান্ট ফারজানা জামান লিজা, এইচডিডিএফ এর প্রকল্প কর্মকর্তা মিনি আক্তার, ডিপিইউপি এর সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা নুরু দেওয়ান, একক্টিভ সিটিজেন এর প্রোগ্রাম অফিসার কামরুল ইসলাম, রেড টাইমস বিডি ২৪ নিউজ এর সিনিয়র রিপোর্টার শারিফুল ইসলাম প্রমুখ।